ডমিঙ্গোর ‘ফাঁকিবাজি’ মেনে নেবে না বিসিবি

রাসেল ডমিঙ্গো এতদিন ভালোই স্বাধীনতা ভোগ করেছেন। যে কোনো সিরিজের আগে অনুশীলন ক্যাম্প হতো তার ইচ্ছায়। চার-পাঁচ দিনের বেশি অনুশীলন ক্যাম্প করতেন না তিনি। তিন দিন অনুশীলন করে খেলতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ। কোচের সে ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। বিসিবি থেকে ক্যাম্পের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে কোচকে। ডমিঙ্গো চেয়েছিলেন ১৬ নভেম্বর অনুশীলন ক্যাম্প ডাকতে।

এ ব্যাপারে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘কোচ যেটা চেয়েছে সেটা হবে না। তাকে জানিয়ে দিয়েছি, ১২ নভেম্বর থেকে মিরপুরে ক্যাম্প করতে হবে।’  বিশ্বকাপেও অনুশীলনে ফাঁকি দিচ্ছেন কোচ। দলও ভালো খেলছে না। যে কারণে কোচের ইচ্ছা পূরণ করা হবে না। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজ শুরুর আগে ভালোভাবে দল প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে ডমিঙ্গোকে।

চলতি বিশ্বকাপে নিয়মিত অনুশীলনের বাইরে ঐচ্ছিক অনুশীলন করছে ভারত, পাকিস্তান। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলও বসে থাকে না। এই বিশ্বকাপের ব্যতিক্রম কেবল বাংলাদেশ। ছুতো পেলেই বাতিল করছে অনুশীলন। হোটেলের বায়োসিকিউর বাবলে শুয়েবসে দিন পার করছেন ক্রিকেটাররা। অথচ ম্যাচে ক্যাচ ফেলছেন মুড়িমুড়কির মতো, ব্যাটিং ভালো না হওয়ায় পাওয়ার প্লেতে কাঙ্ক্ষিত রান হচ্ছে না। এ দুই ভুলে জেতা ম্যাচও হাতছাড়া হচ্ছে।

বর্তমান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো টুর্নামেন্ট চলাকালে কম অনুশীলনের পক্ষে। দুই বছরের জন্য নতুন চুক্তি করায় চাকরি হারানোরও ভয় নেই তার। নতুন চুক্তির বলেই হয়তো টানা ম্যাচ হারের পরও অনুশীলন বাতিল করার সাহস দেখাতে পারছেন তিনি।

অনুশীলন না করার পেছনে কোচের যুক্তি হলো, ক্রিকেটারদের ইনজুরিতে পড়া। লম্বা সময় খেলার ভেতরে থাকায় একের পর এক ইনজুরি হচ্ছে বলে মনে করেন ডমিঙ্গো। এজন্য গত দু’দিন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে খুব একটা অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। বাছাই পর্বের তিনটি ম্যাচ খেলেছে বিশ্রাম তত্ত্ব অনুসরণ করে।