কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার চার ইউপিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোট গ্রহণের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। কোনো বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলে ৪২টি ভোট কেন্দ্রে এক লাখ ১৭ হাজার ৬১৫ ভোটার নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে, উপজেলার ৪২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ১১টি, হ্নীলায় ইউপিতে ৯টি, টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ১২টি ও সাবরাং ইউপিতে ১০টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোট গ্রহণ নিয়ে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৪২ প্রিসাইডিং অফিসার, ২৯৩ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৫৮৬ পোলিং অফিসারের নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষ করেছে কমিশন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. বেদারুল ইসলাম জানান, ভোটাররা যেন ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সুন্দর পরিবেশে ভোট প্রয়োগ করতে পারেন সে জন্য ৪২টি ভোট কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে এক লাখ ১৭ হাজার ৬১৫ জন ভোটার নিজেদের ভোট প্রয়োগ করবেন। অপরদিকে টেকনাফ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত স্থানীয় বন্দুকধারী ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মাঠে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সাধারণ ভোটাররা। যার কারণে স্থানীয় ভোটারদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিগগিরই সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনতে মতামত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ঠিক রাখতে, বিশৃঙ্খলা বন্ধে ও অপরাধীদের ধরতে আমাদের পুলিশি টহল অব্যাহত আছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যদি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তা হবে বোকার স্বর্গে বসবাস।