সংসদে চাকরির বয়সসীমা ৩২ করার দাবি : কাদের

করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে প্রায় দেড় বছর হারিয়ে যাওয়ায় এবং সরকারি অনেক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর করার বিষয়টি বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ ছিল। এখন মাত্র এক বছরের জন্য প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমার ক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ছাড় দেওয়া হয়েছে শুধু এককালীন। মানে শুধু এ বছরের জন্য। তাও বিসিএস ক্যাডারকে বাদ দিয়ে। তিনি বলেন, কোভিটজনিত কারণে কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, করোনা বেড়ে গেলে যেকোনো সময়ে এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত হয়তো দুই বছর পর্যন্ত শিক্ষাজীবন ঝরে যাবে। তাহলে প্রশ্ন আসে, যারা পাস করে বেরোনোর পর পাঁচ বছর সময় পায় চাকরি করার জন্য। কিন্তু দুই বছর যদি চলে যায়। আর এখন শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করতে হয় তাদের পাস করতে করতেই ৩০ বছর চলে যাবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এই মানুষগুলোকে যাতে আমরা একটা সুযোগ সুবিধা দিতে পারি, এজন্য আমি প্রস্তাব করতে চাই। এটা নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। সবার জন্যই চাকরির বয়স ৩২ করা যায় কি-না সেটা বিবেচনা করা উচিত। যেহেতু মানুষের জীবনের সীমা বেড়ে গেছে। এখন মৃত্যুর হার অনেক কম। গড় আয়ু বেড়ে গেছে। রিটায়ারমেন্টের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। এন্ট্রি পয়েন্টেও আরেকটু সুযোগ বাড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই জিনিসটি করা উচিত।