চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মাহাদী জে আকিব বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
এদিকে, এ সংঘর্ষের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সার্জারি অধ্যাপক মতিউর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে সন্ধ্যার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেয় কলেজ প্রশাসন।
চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেনা আক্তার জানান, ঘটনার পর পরই একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হোস্টেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সময় সাবেক মেয়র আজম নাছিরের অনুসারী গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আকিব নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সাবেক মেয়রের অনুসারীদের উপর ঘটনার দায় চাপিয়েছে শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীরা।
যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এসি মো. শহীদুল ইসলাম।