ষ্টির পানিতে আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে। এতে করে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী ও অফিসগামী মানুষজনকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
রোববার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করেই চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর হালিশহর, ডিসি রোড, প্রবর্ত্তক, চকবাজার কাতালগঞ্জসহ নগরীর নিম্নাঞ্চলে পানি জমে গেছে। এতে করে ঘর থেকে বের হওয়া নগরবাসীকে কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে। নগরীর দুই নম্বরে গেট এলাকার বাসিন্দা সাদ উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি হলেই পানি উঠবে, এটা যেন নিয়ম হয়ে গেছে। বৃষ্টি এলেই আমাদের দুর্ভোগ শুরু হয়ে যায়। চকবাজারের বাসিন্দা মাসুদুল হক বলেন, জরুরি কাজে বাসা থেকে বের হয়েছি। কিন্তু সড়কে পানি থাকায় অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিয়ে যেতে হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ চললেও সুফল পায়নি আমরা। শহিদুল ইসলাম নামে বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, সকালে অফিস থাকায় মুরাদপুর থেকে আগ্রাবাদে যাওয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেছিলাম। কিন্তু দুই নম্বর গেট এলাকায় পানির জন্য অটোরিকশা নষ্ট হয়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা করে যেতে হয়েছে। সুমাইয়া সুলতানা নামের মহসিন কলেজের এক ছাত্রী বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে কলেজে ক্লাস ছিল। অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিয়ে কলেজে আসতে হয়েছে। তবে সকাল ১০টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা অবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চগ্যা বলেন, থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে আজকে সারাদিন। মৌসুমি বায়ু এখনও সক্রিয় আছে।