কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬নভেম্বর) সকালে স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

কুড়িগ্রাম পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত


শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন।


পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভ চত্বরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেনসহ সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযুদ্ধকালীন ৬ ও ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল গোটা কুড়িগ্রাম অঞ্চল। শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী ছিল মুক্তাঞ্চল। সেখানেই চলত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। নভেম্বরের প্রথম থেকেই মিত্র বাহিনীর সাড়াশি আক্রমণ তীব্র হতে থাকে। একে একে পতন হতে থাকে পাক সেনাদের শক্ত ঘাঁটিগুলো। মুক্ত হয় ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, চিলমারী, উলিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। এরপর পাকসেনারা শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে কুড়িগ্রাম শহরে।

কুড়িগ্রামকে মুক্ত করতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় বেসামাল হয়ে পড়ে পাক সেনারা। ৫ ডিসেম্বর থেকে মিত্র বাহিনীর সাড়াশি আক্রমণে পিছু হটতে শুরু করে পাক সেনারা। এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ৬ ডিসেম্বর। হানাদার মুক্তি হয় কুড়িগ্রাম।