কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

রাজধানীর রায়েরবাগে সমিতির লোনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সমিতির কর্মীর রাগারাগি ও অপমানে ডলি আক্তার (৩৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ লতিফ ভুঁইয়া কলেজ সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় ডলিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।


বরিশাল বানারীপাড়া উপজেলার মিজানুল ইসলামের স্ত্রী ডলি আক্তার। স্বামী ও দুই ছেলের সঙ্গে রায়েরবাগের ওই বাসায় থাকতেন। স্বামী মিজানুল “কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি” মার্কেটের একটি দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করেন।


মিজানুল ইসলাম জানান, স্ত্রী ডলির ইচ্ছায় ছয় মাস আগে তিনি নিজে জামিনদার হয়ে স্থানীয় আল-ফালাহ কো-অপারেটিভ নামে একটি সমিতি থেকে তার শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাককে ৩ লাখ টাকা লোন তুলে দেন। সেই টাকা দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক তার পূর্বের বিভিন্ন ঋণ শোধ করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় খরচ করেন। প্রতি মাসে ২৭ হাজার টাকা সমিতির কর্মীরা মিজানুলের বাসায় এসে নিয়ে যেতেন। আজকে সকালেও সমিতির কর্মীরা তার বাসায় টাকার জন্য আসলে তিনি জানান, তার শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাক কিস্তির টাকা জোগাড় করতে পারেননি। এ নিয়েই সমিতির কর্মী বিউটি ব্যাপক রাগারাগি করেন স্ত্রী ডলি আক্তারের সঙ্গে।

সমিতির কর্মী আজকেই ২০ হাজার টাকা দিতে বলেন, না দিলে মামলা করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন এবং অপমান করেন। রাগারাগি করে এক পর্যায়ে ওই কর্মী চলে যান। এরপর মিজানুলও সকাল দশটার দিকে তার দোকানে চলে যান। সন্ধ্যার দিকে তার ছেলে তাকে ফোন দিয়ে জানায়, বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন ডলি। তখন ছেলেই তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।


ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু  মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।


এদিকে অপমান করার অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য সমিতিটির কর্মী বিউটির নম্বরে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।