কাটাখালী পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলীর জামিন মঞ্জুর

কাটাখালী পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলীর জামিন মঞ্জুর

রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলায় জামিন পেয়েছেন। এখন তার মুক্তিতে আপাতত কোনো বাধা নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় আব্বাস আলীর জামিন মঞ্জর করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আব্বাস আলীর আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহিদী জামিনের আবেদন করেছিলেন। আসামি আব্বাস আলীর উপস্থিতিতেই আদালতে জামিন শুনানি হয়। পরে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি মামলার মধ্যে একটির বাদী রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল মমিন। গত বছরের নভেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির অডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় এ মামলা করেন তিনি।

অপর মামলার বাদী কাটাখালী পৌর যুবলীগের আহবায়ক জনি ইসলাম। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে কটূক্তির অভিযোগে কাটাখালী থানায় ওই মামলা করেন তিনি। আব্বাস গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন তিনি। আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে থাকা মোট তিনটি মামলাতেই জামিন পেলেন তিনি।

কাটাখালীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আপত্তিকর কথা বলার অডিও ছড়িয়ে পড়ে গত বছরের নভেম্বরে। একটি ঘরোয়া বৈঠকে আলাপচারিতার ওই অডিও ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আব্বাস আলী আত্মগোপন করেন। পরে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রথমে সাময়িক এবং পরে স্থায়ীভাবে মেয়রের পদ থেকে আব্বাস আলীকে বরখাস্ত করে। পরপর দুবার নৌকা নিয়ে পৌরসভার মেয়র হওয়া আব্বাস আলী এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগের দলীয় পদও হারিয়েছেন।