আবারও ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামি আদালতে

চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত সেনাবাহিনীর অব. মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামি ফের আদালতে হাজির করা হয়েছ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাদের হাজির করা হয়েছে এ মামলার আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে।

এর আগে রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর পক্ষের আইনজীবী বাদী পক্ষের তিনজনের জেরা করেন। সে সময় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছয় সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হলেও; তিনজনের জেরা চলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম। তিনি জানান, রোববার থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সোমবার চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্য চলবে। দ্বিতীয় দফায় ১৩ সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। গতবারের মতো এবারও সকাল ৯টার দিকে সাক্ষ্য গ্রহণের সময় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ-লিয়াকতসহ ১৫ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে নির্ধারিত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট তিন দিনে মামলার প্রধান সাক্ষী ও বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী ও সিনহা হত্যার ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সাইদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রথম ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত থেকে সমন দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সেরেস্তাদার নুরুল কবির। নির্ধারিত তিন দিনে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন। ২৩ আগস্ট প্রথম শুনানিতে মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। পরে তাকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত ও লিটন মিয়ার আইনজীবী শওকতসহ ১৫ আসামির পক্ষে দুদিন জেরা করেন। এরপর ২৪ ও ২৫ আগস্ট মামলার অন্যতম সাক্ষী সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতের আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে একইভাবে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোস্তফা বলেন, প্রথম দফায় ‘তিন দিনে পাঁচজন করে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।

তবে আদালতে শেষ দিন পর্যন্ত ১০ জন সাক্ষী হাজিরা দিয়েছেন। তিন দিনে মাত্র দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। এ মামলায় ৮৩ জন চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী রয়েছেন। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।