এক মঞ্চে ২০ যৌতুকবিহীন বিয়ে!

এক মঞ্চে ২০ যৌতুকবিহীন বিয়ে!

সিলেটের কানাইঘাটে একমঞ্চে ২০টি যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল মা’আরিফ বালিকা মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে এসব বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশের আয়োজনে ও মুসলিম ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউট ইউকের অর্থায়নে এ গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। সব কটি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন চতুল সরুফৌদ কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা বদরুল আলম।

আয়োজকেরা বলেন, গ্রামে যেসব প‌রিবারের বিবাহযোগ্য মেয়ে থাকলেও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিয়ে দিতে পার‌ছিল না, তাদের প্রতি সহযো‌গিতার হাত বা‌ড়িয়ে দিয়ে‌ছিল সংগঠনগুলো। এ ছাড়া বিয়ে উপলক্ষে সংগঠনগুলোর পক্ষে থেকে নবদম্প‌তিদের উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।

বিয়ের আয়োজনে উপ‌স্থিত ছিলেন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল্লাহ শাকির, বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসাইন, মুসলিম ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউট ইউকের প্রতিনিধি মাওলানা হানিফ, মাওলানা আমজাদ হোসাইন, মাওলানা ইয়াহিয়া, ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাওলানা সদর উদ্দিন মকনুন ও ব্যারিস্টার মাওলানা জুনুদ উদ্দীন।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নবদম্পতিদের প্রত্যেককে একটি করে সেলাই মেশিন, একটি ছাগল, একটি খাট, আলনা, লেপ-তোশকসহ সংসার সাজানোর জন্য বিভিন্ন উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়। এ ছাড়া আর্থিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার জন্যও নবদম্পতিদের বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হয়।

বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসাইন বলেন, গ্রামে এমন অনেক পরিবার আছে, যাদের প‌রিবারের বিবাহযোগ্য মেয়ে থাকলেও আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য বিয়ে দিতে পারে না। এমন ২০টি পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে।    

মুসলিম ওয়েল ফেয়ার ইনস্টিটিউট ইউকে ও ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা গণবিবাহের বর ও কনেদের উপহারসামগ্রী কাজে লাগিয়ে সুখী পরিবার গঠনের জন্য ধর্মীয় অনুশাসনের পাশাপাশি পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাসের আহ্বান জানান। ভবিষ্যতে যৌতুকবিহীন গণবিবাহসহ দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে।