এক পয়েন্টের জন্য জিতা হলো না বাংলাদেশের

শেষ হলো বাংলাদেশ আর্চারির ‘গো ফর গোল্ডে’র টোকিও মিশন। রোমান সানার পর, হতাশ হলেন দিয়া সিদ্দিকীও। রিকার্ভ নারী ইভেন্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও জিততে পারলেন না দিয়া। শ্যুট অফে ৬-৫ পয়েন্টে হারলেন বেলারুশের জিওমিন্সকায়া কারিনার বিপক্ষে।

দিয়ার এ হাসিটা প্রাপ্তির নয়। বরং এর মাঝে লুকিয়ে আছে চাপা কষ্ট। খুব কাছে গিয়েও আরাধ্য কিছু না পাওয়ার বেদনা। কিন্তু, এ হাসিটাই বলে দিচ্ছে, এ পরাজয় থামিয়ে দিতে পারবে না বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা। টোকিও তো কেবল শুরু, আসছে সময়ে গো ফর গোল্ড মিশনে আরও এগোবে বাংলাদেশ। দলগত পর্বে আগেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ। অবস্থান ছিল নবম। আশা ছিল ব্যক্তিগততে এটা ছাড়িয়ে যাবেন রোমান সানা। কিন্তু এক পয়েন্টের আক্ষেপে পোড়েন তিনি। বিদায় নেন রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে। ১৭ বছরের দিয়াকে নিয়ে তাই উচ্চাশা খুব একটা ছিল না, যদি, জিতে যান তাহলে সেটাই হতো বড় প্রাপ্তি। তারপরও, হারতে তো কেউ মাঠে নামে না। দিয়াই বা সেখানে ব্যতিক্রম হবেন কেন? তিনিও নেমেছিলেন বাংলাদেশের পতাকাকে শীর্ষে উড়াতে। কিন্তু, ইউমেনোশিমায় বাতাস ছিল আর্চারদের প্রতিপক্ষ। বেলারুশের কারিনার চেয়েও যা দিয়াকে বেশি ভুগিয়েছে। প্রথম রাউন্ডে দুজনের অবস্থাই তথৈবচ। কিন্তু এর মাঝেও মন্দের ভালো বাংলাদেশ। ২ সেট পয়েন্টে এগিয়ে দিয়া সিদ্দিকী। দ্বিতীয় রাউন্ডেই ঘুরে দাঁড়ান জিওমিন্সকায়া। এক পয়েন্টের ব্যবধানে সেট জিতে, সমতা ফেরান ম্যাচে। তৃতীয় রাউন্ডটা ছিল সমানে সমানে লড়াই। কেউ কাউকে ছাড় দেননি এক চুল পরিমাণ। ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট দুজনই। চতুর্থ রাউন্ডে আবারও এগিয়ে যান বেলারুশিয়ান আর্চার। প্রথমবারের মতো ম্যাচে আধিপত্য দেখান কারিনা। একেবারেই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি দিয়া। তবে, ফিরে আসতে সময় নেননি তিনি। শেষ রাউন্ডে পালটা আক্রমণ করে ধসিয়ে দেন কারিনাকে। ৫ রাউন্ড শেষে ৫-৫ পয়েন্টে সমতায় ম্যাচ। রাউন্ড অব থার্টি টু গড়ায় শ্যুট অফে। এক শটে নির্ধারণ হয় বেলারুশ আর বাংলাদেশের অলিম্পিক ভাগ্য। পেনাল্টিতে কারিনা ১০ মারলে, স্নায়ু চাপ বেড়ে যায় দিয়ার। সেটাকে আর সামাল দিতে পারেননি ফ্রেডেরিখ মার্টিন শিষ্য। হেরে যান এক পয়েন্টের ব্যবধানে। আরও একবার এই এক পয়েন্টে কপাল পোড়ে বাংলাদেশের।