ঋণ-আমানত, রেমিট্যান্স শক্তিশালী অবস্থানে আছে ইসলামী ব্যাংক

ঋণ-আমানত, রেমিট্যান্স শক্তিশালী অবস্থানে আছে ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। নাবিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান শিমুল এন্টারপ্রাইজসহ ৮টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ঋণের বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে- তা যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি বলে জানান ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মাওলা।

তিনি বলেন, ঋণ-আমানত, রেমিট্যান্স যে কোনো বিচারে শক্তিশালী অবস্থানে আছে ইসলামী ব্যাংক। তাই ব্যাংক নিয়ে গ্রাহকদের আস্থার কোনো সংকট নেই এমনটাই দাবি এমডির।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ইসলামী ব্যাংক। বিভিন্ন খাতে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণের পরিমাণ এক লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা; যা ব্যাংক খাতের বিতরণের ১২ শতাংশের বেশি বলে দাবি মনিরুলের।

সম্প্রতি নাবিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো চাল, ডাল, গম, চিনি ও ভোজ্যতেলের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী বলে জানান ইসলামী ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। যার মাধ্যমে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও আনোয়ারা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে তারা যথাযথ ব্যাংকিং নিয়ম মেনে ঋণ নিয়েছে বলে জানান ব্যাংকটির এমডি।

মনিরুল মাওলা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ ধরনের পণ্যে ইসলামী ব্যাংক ঋণ বাড়িয়েছে। দেশের মোট আমানতের ১০ শতাংশ জমা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকে, যার পরিমাণ এক লাখ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

শিল্প ও বাণিজ্যিক ঋণের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ঋণেও বড় ভূমিকা রয়েছে ব্যাংকটির। যার ফলশ্রুতিতে উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান ব্যাংকটির এমডি মনিরুল মাওলা।

৩০ হাজার গ্রাম মাইক্রো ফাইন্যান্সের আওতায় আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংকের ১৬ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৯২% নারী গ্রাহক। এই গ্রাহকরা নিজেদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি দেশের জিডিপিতে বড় ভূমিকা রাখছেন। প্রবাসী আয়েও বড় ভূমিকা রাখছেন।

মনিরুল মাওলা দাবি করেন, ইসলামী ব্যাংকে বেনামি ঋণ বলতে কিছু নেই; যা আছে স্বনামে। আমদানি বৃদ্ধি, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারিত হওয়ায় যথাযথ মূল্যায়ন করে পর্যাপ্ত জামানত গ্রহণ ও ব্যাংকের নিয়ম মেনেই তাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে।

এখনো পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ খেলাপি হয়নি এবং নির্দিষ্ট সময়েই বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাবেন বলে ব্যাংকটির এমডি জানান।