ইসলামী আন্দোলনকে পক্ষে আনার চেষ্টা করছে বিএনপি

ইসলামী আন্দোলনকে পক্ষে আনার চেষ্টা করছে বিএনপি

চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনকে পক্ষে আনার চেষ্টা করছে বিএনপি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করে। 

প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির পক্ষে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দীন স্বপন, বরিশাল জেলা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, সদস্য সচিব আবুল কালাম, সাবেক সভাপতি এবায়দুল হক চান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাসহ ১০ জন নেতা। আর ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি রেজাউল করীমসহ দলটির শীর্ষ নেতারা। যদিও বিএনপির দাবি কোনো প্রকার এজেন্ডা ছাড়াই তারা সেখানে গিয়েছিলেন। আর ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের দাবি তারা সব দলকেই চরমোনাইয়ের ৩ দিনের মাহফিলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো দল না এলেও বিএনপি তাদের আমন্ত্রণে এসেছিল। সে সময় মধ্যাহ্নভোজ ও দরবারের মেহমানখানায় দুই দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

চরমোনাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান বলেন, চরমোনাইর মাহফিলে আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের আপ্যায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে ১০ দফা দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলনে তাদের শরিক থাকাসহ নানা বিষয়ে প্রাণবন্ত মতবিনিময় করা হয়েছে। তবে এটা দলীয় কোনো এজেন্ডা ছিল।

বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, চরমোনাইতে আমাদের একটি টিম গিয়েছিল। তবে সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেন, আমরা বিভিন্ন দলকে মাহফিলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সেখানে বিএনপি এসেছিল। তাদের সঙ্গে চলমান রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশাহারা সাধারণ মানুষ। আমরা এসব মানুষের পক্ষে কাজ করতে চাই। বিএনপি রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চায়, রাষ্ট্রকে একটি কল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চায়। এজন্য তারা সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এখনো আমরা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে যাইনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক জহির উদ্দীন স্বপন বলেন, চরমোনাইয়ের মাহফিলে আমরা ১০ জনের প্রতিনিধি দল গিয়েছিলাম। সেখানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বিএনপির চলমান আন্দোলন ১০ দফা দাবিতে তাদের শরিক হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চরমোনাইয়ের সঙ্গে বড় কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা খুব কাছাকাছি এসেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি আন্দোলন করে যাচ্ছে। সেখানে ইসলামী আন্দোলনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।