ইউক্রেনকে এখন আর বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালানো সম্ভব নয় : ইলন মাস্ক

ইউক্রেনকে এখন আর বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালানো সম্ভব নয় : ইলন মাস্ক

ইউক্রেনে আর বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেবে না বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। ইউক্রেনে এই সেবা দিতে তার কোম্পানিকে প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে মোট ৮০ মিলিয়ন ডলার করেছে স্পেসএক্স। কিন্তু এখন আর বিনামূল্যে এই সেবা চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে টুইটে ইলন মাস্ক লিখেছেন, “স্পেসএক্স আগের খরচ চাচ্ছে না। কিন্ত বর্তমান সিস্টেমে অনির্দিষ্টকালের জন্য অর্থ দিতে পারবে না এবং কয়েক হাজার টার্মিনালও পাঠাতে পারবে না, যেগুলো সাধারণ বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা ডেটার চেয়ে ১০০ গুণ শক্তিশালী। এটি অযৌক্তিক।”

তিনি আরও লিখেছেন, “আমাদের সাইবার অ্যাটাক ও  জ্যামিংয়ের বিরুদ্ধেও কাজ করতে হচ্ছে, যা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”

 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া।

যুদ্ধ শুরুর পর রুশ সেনারা ইউক্রেনের যোগাযোগ ব্যবস্থার অবকাঠামো ধ্বংস করে দিতে থাকে। এরপর ইউক্রেনের জন্য এগিয়ে আসেন ইলন মাস্ক। যুদ্ধের শুরুর দিকেই ইউক্রেনকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে কয়েক হাজার টার্মিনাল পাঠান তিনি।

ইলন মাস্কের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সুবিধা পেয়েছেন বেসামরিক নাগরিক এবং ইউক্রেনের সেনারা। এ সেবা ব্যবহার করে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সাফল্য পেয়েছে তারা।

এদিকে গণমাধ্যম সিএনএন শুক্রবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে স্পেসএক্স।

চিঠিতে তারা বলেছে, ইউক্রেনে যদি যুক্তরাষ্ট্র স্পেসএক্সের সেবা অব্যাহত রাখতে চায় তাহলে স্পেসএক্সকে অর্থ দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে।

এদিকে ইলন মাস্কের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য আসার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে ইউক্রেন।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলায়েক বলেছেন, “তারা একটি উপায় বের করবেন। কিন্তু উপায় বের হওয়ার আগ পর্যন্ত যেন স্পেসএক্স তাদের সেবা অব্যাহত রাখে।

সূত্র: বিবিসি,  রয়টার্স