নতুন সূচি প্রকাশ করা হলো ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজের

আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু ব্যস্ত সূচির কারণে এ সফর স্থগিত করে প্রায় ১৮ মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংলিশরা। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। দুই সপ্তাহে ছয়টি সীমিত পরিসরের ম্যাচ আয়োজন করা হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত এর আগে সোমবার (২ আগস্ট) দিনের শেষ ভাগে জানা যায়, আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হিসেবে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের। এর মধ্যে ওয়ানডে সিরিজটি এখন না হলেও পরে সুবিধাজনক সময়েই হবে। শঙ্কা কেবল টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে।

চলতি বছরের টি-২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় বিসিসিআই এবারের আসরটি শেষ পর্যন্ত সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এরপর ঘোষণা করা হয় নতুন ভেন্যু ওমান ও আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ধুমধারাক্কা এই আসর। যেহেতু আসর হওয়ার কথা ছিল ভারতে, উপমহাদেশের বাইরের দেশগুলো তাই এ অঞ্চলের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেছে নেয় বাংলাদেশকে। বর্তমানে তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এরপর ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা আছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলেরও। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ হচ্ছে আরব আমিরাতে। আর বিশ্ব আসর শুরুর ঠিক আগেই সেখানে শুরু হবে স্থগিত হওয়া আইপিএল। আরব আমিরাতের তিন ভেন্যু দুবাই, আবুধাবি ও শারজায় হবে আইপিএলের খেলা। বিশ্বকাপের খেলাও হবে এ তিন ভেন্যুতে। তাই বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিতেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের সেই সুযোগ করে দিতে চাইছে। যার কারণেই মূলত পিছিয়ে গেল ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর।