ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের দুর্দান্ত জয়

হেডিংলিতে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর হতাশায় মুষড়ে না গিয়ে তেজোদ্দীপ্ত কণ্ঠে বিরাট কোহলি বলেছিলেন, ‘আমরা এমন পরিস্থিতিই বেশি ভালোবাসি, যখন মানুষ আমাদের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে থাকে।’ অধিনায়কের এই কথাটি যে স্রেফ বলার জন্যই বলা ছিল না, ভারতীয় দল তা প্রমাণ করলো ওভাল টেস্টে।

লন্ডনের কেনিংটন ওভালে সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডের ৯৯ রানের লিডের নিচে পড়তে হয়েছিল ভারতকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত কামব্যাক করে ভারত। রোহিত শর্মার ১২৭ রানের সঙ্গে রিশাভ পান্ত ও শার্দুল ঠাকুরের ফিফটিতে ৪৬৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা।

ফলে প্রায় চার সেশনে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৬৮ রানের। আধুনিক টেস্ট ক্রিকেটে ১২০ ওভারে ৩৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ার চ্যালেঞ্জটা নিয়ে থাকে প্রায় দলই। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি ইংল্যান্ড, চেয়েছিল ম্যাচটি ড্র করতে। তাদের এ উদ্দেশ্য সফল হতে দেয়নি ভারত।

ম্যাচের শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ২১০ রানে অলআউট করে দিয়ে ১৫৭ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে বিরাট কোহলির দল। যার সুবাদে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত। ম্যাচে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত আর অলরাউন্ডিং ঝলক দেখিয়েছেন শার্দুল।

আগেরদিন ৩২ ওভার খেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড। শেষদিন পুরো দশ উইকেট হাতে নিয়ে ২৯১ রান করতে হতো তাদের। কিন্তু ভারতীয় পেসারদের দাপটে আজ ৬০.২ ওভারে ১৩৩ রান যোগ করতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।

অথচ উদ্বোধনী জুটিতেই এসেছিল ১০০ রান। ঠিক পঞ্চাশ শুয়ে শার্দুলের প্রথম শিকারে পরিণত হন ররি বার্নস। খানিক পর ফিরে যান তিন নম্বরে নামা ডেভিড মালানও (৫)। একপ্রান্ত ধরে খেলতে থাকা আরেক ওপেনার হাসিব হামিদকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। আউট হওয়ার আগে ৬৩ রান করেন হাসিব।

এরপর খানিক লড়াই করেন অধিনায়ক জো রুট। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি অলি পোপ (২), জনি বেয়ারস্টো (০) ও মইন আলিরা (০)। দলীয় ১৪১ থেকে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ইংলিশরা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি তাদের।

ইনিংসের ৮১তম ওভারের প্রথম বলে ৩৬ রান করা রুটকে বোল্ড করে দিয়ে ভারতের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন শার্দুল। পরে লেজ মুড়িয়ে দিয়ে বাকি কাজ সারেন উমেশ যাদব। তিনিই নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। এছাড়া দুইটি করে শিকার বুমরাহ, শার্দুল ও জাদেজার।