আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিলেন মার্টিনেজ

আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিলেন মার্টিনেজ

ম্যাচের আগে টাইব্রেকার এড়াতে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বলেছিলেন, কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে যাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু ভাগ্যের লিখন কি আর যায় খণ্ডন? প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেও রেফারির শেষ বাঁশিতে ১-১ গোলে সেই অমীমাংসিত অবস্থায় থামে ম্যাচ।

কনমেবলের (দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন) নিয়মের ফাঁদে পড়ে নির্ধারিত সময় শেষে সরাসরি চলে যেতে হয় টাইব্রেকারে। কারণ অতিরিক্ত ৩০ মিনিট যুক্ত হওয়ার নিয়ম নেই কোপার নকআউটপর্ব থেকে। এমন নিয়মকে দুর্ভাগ্য বলে হয়তো মাথায় হাত দিয়ে প্রার্থনায় বসেছিলেন স্কালোনি। কিন্তু পরে যা ঘটল তাতে, টাইব্রেকারকে সৌভাগ্যই বলতে হবে নিশ্চিত।

বুধবার সকাল ৭টায় ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে ৩-২ স্কোরে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর এ জয়ের একমাত্র নায়ক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মহানায়ক বললেও অত্যুক্তি হবে না।

আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে শিরোনাম হয়েছে— আর্জেন্টিনাকে ফাইনালের টিকিট কেটে দিলেন মার্টিনেজ। হওয়ারই কথা। পেনাল্টি শুটআউটে কলম্বিয়ার পাঁচ শটের তিনটিই ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি। ডি পল অবিবেচকের মতো শট আকাশে তুলে না দিলে হয়তো এতটা বীরত্ব দেখাতে হতো না মার্টিনেজকে।

টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার হুয়ান কুয়াদ্রাদো কুয়াদরাদোর প্রথম শট বাঁচাতে পারেননি মার্টিজেন। মেসি গোল করে তা শোধ করে দেন। অর্থাৎ স্কোর দাঁড়ায় ১-১। এর পর দাভিনসন সানচেস ও ইয়েরি মিনার পরের দুটি শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।

মিগুয়েল বোরহার বুলেট গতির শট কলম্বিয়ার জাল খুঁজে নেয়। এ সময় স্কোর হয় ৩-২। শট নিতে আসেন এদউইন কারদোনা। এ বেলায়ও কারিশম্যাটিক পারফরম্যান্স দেখান মার্টিনেজ। কারদোনার শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন তিনি। ফলে ৩-২ স্কোরে জয় নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। টিকিট কাটে ফাইনালের।

জয়ের আনন্দে দৌড় দেন মার্টিনেজ। পিছু পিছু ছুটে যান অধিনায়ক মেসি। দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরেন মেসি-মারিয়- ডি পলসহ সবাই। কোপার ফাইনালে ওঠার আনন্দের মধ্যমনি হয়ে যান মার্টিনেজ।