আমরা হাতি বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছি: বনমন্ত্রী

হাতি বাঁচাতে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, গত এক মাসে দেশে ৭-৮টি হাতি মারা গেছে এবং তার দায়িত্ব এড়ানো যায় না। তিনি বলেন, হাতি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সবাই হাতি বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছি। সেই ব্যর্থতার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের রুবী গেট এলাকায় ফরেস্ট একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে বন ক্যাডারের নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষকদের দুই মাসব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কোর্সের সমাপনী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পরবর্তীতে কোনো অবস্থায় যেন এরকম অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে, সেজন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে বনবিভাগের কর্মীদের আরও সক্রিয় হতে বলেছেন।

বন বিভাগের হিসাবে, দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসরত হাতির সংখ্যা ২৬৮টি। এছাড়া ভারত ও মিয়ানমার থেকে দেড় শতাধিক হাতি বিভিন্ন সময়ে যাওয়া-আসা করে।
গত ৩০ বছরে দেশে হাতি মারা গেছে ১৪২টি। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২২টি, ২০২১ সালে ১১টি হাতি মারা গেছে। শুধু চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই মারা যাওয়া হাতির সংখ্যা আটটি।
বনমন্ত্রী বলেন, হাতি যদি ফসলের ক্ষতি করে, তার ক্ষতিপূরণ আমার সরকার দিচ্ছে। তাহলে কেন সে হাতি মারবে? ক্ষতিপূরণ আমরা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। মন্ত্রণালয় নিচ্ছে। মানুষকে একটু বুঝিয়ে বলা, ফসলের ক্ষতি করলে সে ক্ষতিপূরণ আমরা দিচ্ছি। আপনারা হাতি মারবেন না। হাতি মারলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সকল প্রাণী রক্ষার দায়িত্ব বন বিভাগের। বন বিভাগের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। আপনার এলাকায় যদি একটি বন্যপ্রাণী মারা যায় তাহলে দায়িত্ব সবার।
যে এলাকায় বন্য প্রাণী মারা যাবে তার দায়িত্ব সেখানকার ফরেস্ট গার্ড থেকে শুরু করে কর্মকর্তাসহ সবাইকে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।