আটক ইসরাইলি সেনাদের মুক্তির জন্য সিসিকে অনুরোধ

আটক ইসরাইলি সেনাদের মুক্তির জন্য সিসিকে অনুরোধ

গাজার প্রশাসক ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি সেনাদের মুক্তির জন্য মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ এল-সিসির দ্বারস্থ হয়েছেন ইহুদি নেতারা।

যুক্তরাষ্ট্রে সফররত সিসির সঙ্গে দুই মার্কিন ইহুদি নেতা সাক্ষাৎ করে হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি সেনাদের মুক্তির ব্যাপারে সহায়তা চান। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।

ওয়াশিংটনে গত বৃহস্পতিবার ইহুদি ওই নেতারা সিসির সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ ইহুদি সংগঠন মেজর আমেরিকান জিওস অর্গানাইজেশনের সিইও ইউলিয়াম ডারফ এবং চেয়ারম্যান ডিয়ান লব ইসরাইলি সেনাদের মুক্ত করতে সিসিকে অনুরোধ করেন।

হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি দুই সেনা আভেরা মেংগিসতু এবং হিশাম আল-সাইদের মুক্তি এবং গাজায় নিহত দুই ইসরাইলি সেনা হ্যাদার গোল্ডিন এবং অরন শাওলের মরদেহ ফেরত চায় ইহুদি নেতারা।

হামাস ইসরাইলি সেনা আভেরা মেংগিসতুকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে গাজা থেকে আটক করে এবং হিশাম আল-সাইদকে ২০১৫ সালে আটক করে।

এদের মধ্যে হিশাম আল-সাইদ ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত ইসরাইলি নাগরিক। তিনি ইসরাইলের সেনাবাহিনীতে কাজ করেন।

এছাড়া ইসরাইলি সেনা সদস্য হ্যাদার গোল্ডিন এবং অরন শাওলকে এক মাস আগে আটক করে হামাস। ইসরাইলের ধারনা তারেকে হত্যা করে ফেলেছে হামাস।

তবে, তারা মৃত না জীবিত এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি হামাস। ২০১৪ সাল থেকে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে বন্দিবিনিময় হয়ে আসলেও তাদের মধ্যে কোন আনুষ্ঠানিক চুক্তি নেই।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি সেনাদের মুক্তির জন্য তারা মিসরের প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায়।

বর্তমানে ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে ৪ হাজার ৭৬০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন।

২০১১ সালে ইসরাইলি সেনাদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ১ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছিলেন।