আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে চুরি

আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে চুরি
সেখানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে চুরি। জাতীয় নির্বাচনে ভোট চুরি করে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট চুরি করে, এখন সুপ্রিম কোর্টে ভোট চুরি করছে, ঢাকা বারে ভোট চুরি করছে।’
আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপিয়ে গত সোমবার রাতে সিল মারার সময় ধরে ফেলা হয়। এরপর সেখানে প্রচণ্ড গোলযোগ সৃষ্টি করা হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে যে জঘন্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে সেখানে নতুন নির্বাচন চাই। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা বলে সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হবে না। আরে সংবিধান তো কাটাছেঁড়া করেছ তোমরা—যাতে তোমরা আবার জিতে আসতে পার বিনা ভোটে। এই দেশের মানুষ কি আবার আওয়ামী লীগকে বিনা ভোটে নির্বাচনে জয়লাভ করতে দেবে?
সবাই ‘না’ বলে জবাব দিলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রতিরোধ হবে? রাস্তায় রাস্তায়, ঘরে ঘরে, নগরে–বন্দের প্রতিরোধ গড়ে উঠবে? এবার সবাই ‘হ্যাঁ’ বলে জবাব দিলে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বাঁচতে চাই, এ দেশকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে তরুণদের, যুবদলকে জেগে উঠতে হবে।
একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘মেগা প্রজেক্ট, করাপশন, মেগা গ্রিড’ শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, মেগা যত প্রকল্প, সেখানে মেগা দুর্নীতি। সেখানে মেগা লোভ। টানেল তৈরি করা, আবার পাতালরেল তৈরি করা। যে দেশের ৪২ ভাগ মানুষ না খেয়ে থাকে, যে দেশের মানুষের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর টাকা থাকে না, চাল কেনার, তেল কেনার টাকা থাকে না, সেখানে এ ধরনের মেগা প্রজেক্ট করে মেগা দুর্নীতি করে তারা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, দেশকে ফতুর করে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, আজকেও একটি পত্রিকায় এসেছে, তিনটা এলসিতে ৩৯৪ কোটি টাকা পাচার করে দিয়েছে। এই দেশকে তারা শেষ করে দিয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমসহ কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জনগণের ভোটের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেন। ক্ষমতা কার হাতে যাবে, এটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন, ক্ষমতা যার হাতে যাওয়ার তার হাতে যাবে। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *