আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার আরও ৩০ নেতা

হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ৩০ নেতাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলার ৪ উপজেলায় বহিষ্কার হলেন ৫৫ জন।মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ৩০ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বহিষ্কৃতদের মধ্যে বানিয়াচংয়ে ১৬ জন ও লাখাই উপজেলায় ১৪ জন রয়েছেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার ৫ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নের মো. আজিজুর রহমান, ৬ নম্বর কাগাপাশা ইউনিয়নের মো. এরশাদ আলী, ৭ নম্বর বড়ইউড়ি ইউনিয়নের মো. এয়াওর মিয়া, ৮ নম্বর খাগাউড়া ইউনিয়নের আব্দুল লতিফ দুলাল, ১০ নম্বর সুবিদপুর ইউনিয়নের মো. কাউছার চৌধুরী, ১১ নম্বর মক্রমপপুর ইউনিয়নের ইয়াহিয়া চৌধুরী ও মো. তাহির মিয়া, ১২ নম্বর সুজাতপুর ইউনিয়নের এনাম খান চৌধুরী, মো. সাদিকুর রহমান, মাজার কামরান, আহমেদ ফরিদ, রবিন চৌধুরী মলু, মো. হেলাল মিয়া, ১৩ নম্বর মন্দরী ইউনিয়নের আব্দুল হেকিম ফুল মিয়া, ১৪ নম্বর মুরাদপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম পাশা এবং ১৫ নম্বর পৈলারকান্দি ইউনিয়নের জয়নাল আবেদীন তালুকদার ও মো. শাহজাহান মিয়া। লাখাই উপজেলায় বহিষ্কার হয়েছেন এক নম্বর লাখাই ইউনিয়নের শরীফ উদ্দিন তালুকদার, দুই নম্বর মোড়াকরি ইউনিয়নের আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সল, মাহমুদুল হাসান ও মো. জাহিদুল ইসলাম, তিন নম্বর মুড়িয়াউ ইউনিয়নের মাসুক মিয়া তালুকদার, হাজী মুকলেছুর রহমান ও মো. নোমান মিয়া, চার নম্বর বামৈয়ে ইউনিয়নের এনামুল হক মামুন, মোর্শেদ কামাল ও খসরু নোমান, পাঁচ নম্বর করাবে ইউনিয়নের আব্দুল হাই কামাল, এবং ছয় নম্বর বুল্লা ইউনিয়নের মো. এয়ার হোসেন তালুকদার, জাহারুল ইসলাম তাউস ও শেখ মুর্শেদ কামাল। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা রয়েছে এ প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য তাদের নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২৫ নেতাকর্মীকে একই অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।