সিটি নির্বাচনে বিএনপি ঘোমটা পরে আসবে: ওবায়দুল কাদের

সিটি নির্বাচনে বিএনপি ঘোমটা পরে আসবে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি না এলেও ঘোমটা পরে আসবে। এটা তাদের রাজনীতির আরেক ভণ্ডামি। জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে ৩০টি সিট জুটবে কি না সেটা ভেবে বিএনপি নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং এখানকার দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা মহল বিএনপির নেতৃত্বে। এরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত দিবসগুলোকে অস্বীকার করে। ১৭ এপ্রিল দেখবেন বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই। ৭ই মার্চ তারা পালন করে না। স্বাধীনতার পথে স্বাধিকার আন্দোলনে ৭ জুন গুরুত্বপূর্ণ। এদিন তারা পালন করে না। এরা নাকি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী! দেখবেন তাদের বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধু নেই। তাদের অনুষ্ঠানমালায় বঙ্গবন্ধু নেই। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার মহানায়ক নেই।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যা শুরু করে দিয়েছিল সেই ধারা বিএনপি এখনো অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি এমনটা করেছে, এখনো তারা সেই ভাবধারা বহন করছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় তারা বিশ্বাস করে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক মাত্র। ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। স্বাধীনতার ঘোষণা অনেকেই পাঠ করেছেন। স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধুর। সত্তরের নির্বাচনে জনগণ তাকে সেই ম্যান্ডেট দিয়েছিল।

তিনি বলেন, সুদীর্ঘ ও সুবিশাল ইতিহাস স্বাধীনতা সংগ্রামের। একটা বাঁশির ফুঁতে হয়নি। সেখানে বীরের বীরত্ব আছে, পাশাপাশি ষড়যন্ত্রও আছে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের ফুটনোট হতে পারে, তাকে নায়ক-মহানায়ক বানানো বিএনপির উদ্ভট কল্পনা, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।

কাদের বলেন, অনেক কিন্তু তারা বলছে, আমরা আমাদের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে যারা স্বাধীনতার আদর্শবিরোধী, চেতনাবিরোধী- এই অপশক্তি বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে। এই বিষবৃক্ষ উৎপাটন পর্যন্ত আমাদের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপির নেতৃত্বের অপরাজনীতিকে পরাজিত করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ নির্দিষ্ট জেলাসমূহের দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সংসদ সদস্যগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *