‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্যা ইয়ার’ পুরস্কার গ্রহণ করলেন ফখরুল কন্যা ড. শামারুহ

‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্যা ইয়ার’ পুরস্কার গ্রহণ করলেন ফখরুল কন্যা ড. শামারুহ

অস্ট্রেলিয়ান অব দ্যা ইয়ার’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বড় মেয়ে ড. শামারুহ মির্জা।

গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এ পুরস্কার গ্রহণ করেন ড. শামারুহ মির্জা।

ডা. শামারুহ মির্জা টেলিফোনে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘পুরস্কারটি শুধু ব্যক্তি হিসেবে আমি পেয়েছি, বিষয়টি মোটেই এরকম নয়। পুরস্কারটি আমাদের প্রতিষ্ঠান ‘সিতারাস স্টোরি’রও এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার। এই সম্মান বাংলাদেশের মানুষেরও।

‘‘আমি মনে করি এ ধরনের বড় অর্জন আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেয় এবং মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি সেই জায়গা থেকেই দেখছি।’’

শামারুহ মির্জা একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী। ২০০৬ সাল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে বাস করছেন। চিকিৎসক হলেও মূলত তিনি একজন নারী সংগঠক হিসেবে পরিচিত।

মেয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুরস্কার পাওয়ায় গর্বিত বাবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌ছোট বেলা থেকেই আমার মেয়ে পড়ালেখাসহ অন্যান্য কাজের প্রতি মনোযোগী। তার এ ধরনের পুরস্কার অর্জন পিতা হিসেবে আমার জন্য নিসন্দেহে গর্বের বিষয়। এতে আমার স্ত্রী ও আমি খুশি।

বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারীদের তাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করতে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য একটি নিরাপদ স্থান দিতে শামারুহ ২০১৭ সালে সিতারার গল্প (সিতারাস স্টোরি) নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি।

এই সংস্থাটি কর্মশালা, আলোচনা, সেমিনার ও সৃজনশীল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে, যা নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য, অক্ষমতা, পারিবারিক সহিংসতা ও দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে সহায়তা করে। ২০২১ সালে স্বেচ্ছাসেবকমূলক ও অলাভজনক সংস্থাটিকে মানসিক স্বাস্থ্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। শামারুহ নিজেও ক্যানবেরা ‘কমিউনিটি স্পিরিটস অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ পেয়েছিলেন।

‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জাতীয় অস্ট্রেলিয়া দিবস কাউন্সিলের একটি প্রোগ্রাম। প্রতি বছর দেশটি এই পুরস্কারের মাধ্যমে সেসব বিশিষ্ট অস্ট্রেলিয়ানদের কৃতিত্ব ও অবদানকে উদযাপন করে, যারা সবার জন্য আদর্শ নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা তাদের কৃতিত্বের মাধ্যমে জাতিকে অনুপ্রাণিত করেন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক অস্ট্রেলিয়া তৈরিতে নিজ অবদান রাখার জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন।