২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সৌভাগ্য ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা যেহেতু ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ২০৪১ এর সৈনিক। যারা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

রোববার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মিলিটারি একাডেমিতে ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দায়িত্ব নেন। তার একটাই লক্ষ্য ছিল, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনী, এই বাহিনীকে তিনি আরও পেশাদার ও শক্তিশারী হিসেবে গড়ে তুলবেন। ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে মিলিটারি একাডেমির শুভ উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নবীন সামরিক অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর (১৯৯৬ সাল) আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা সরকার গঠনের পরই ১৯৭৫ সালের পর আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছিল বা বিকৃত করা হয়েছিল, তা পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং আদর্শে যাতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে ওঠে, আমরা সেই পদক্ষেপ নিই। সামরিক বাহিনীকে আধুনিক করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার যখন সরকার গঠন করি, তখনই আমরা জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে দিয়েছিলেন, তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার (বিপিসি) প্রতিষ্ঠা করি।একই সঙ্গে ২০১৮ সালে জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যে ফোর্সেস গোল বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, সেই সাথে সাথে বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি।

সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্যোগ-দুর্বিপাক সব ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করে। সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।