রাজশাহী মহানগরীতে হারিয়ে যাওয়া দুই বোনকে উদ্ধার করে তাদের মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো- সাত বছরের উম্মে হাবিবা ও তিন বছরের আদিয়া।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর এলাকায় নিয়মিত টহলে ছিল ডিবি পুলিশের একটি দল। এসময় রাজপাড়া থানার ঝাউতলা মোড়ে দুই শিশুকে কান্না করতে দেখে পুলিশ। ওই সময় ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম শিশু দুটিকে কান্নাকাটির কারণ জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু তারা কিছুই বলতে পারছিল না। তখন ডিবির ওই টিম তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করে কান্নাকাটির কারণ জানতে চায়। তখন সাত বছর বয়সী শিশু জানায়, তার নাম উম্মে হাবিবা ও তার ছোট বোন আদিয়া। তাদের বাবা মৃত হাবিবুর রহমান। তারা মায়ের সঙ্গে ডাক্তার দেখানোর জন্য রাজশাহীতে এসেছিল।
এরপর ডিবি পুলিশের ওই টিম শিশু দুইটির মায়ের সন্ধানের জন্য আরএমপি কন্ট্রোল রুমে জানায়। এছাড়া ডিবি পুলিশও রাজশাহীর বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজারদের ফোন করে বিষয়টি জানায় এবং সিকিউরিটি গার্ডদের মাধ্যমে হ্যান্ডমাইকিং করেন। এর পাশাপাশি তারা শিশু দুইটির মাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকেন। পরে শিশু দুটির মা নাজনীন আক্তারকে রাজশাহী অ্যাপোলো হাসপাতালের সামনে খুঁজে পাওয়া যায়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে দুই শিশুকে তাদের মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পিতৃহারা শিশু দুইটিকে ফিরে পেয়ে মা নাজনীন আক্তার আপ্লুত হয়ে পড়েন।
হারিয়ে যাওয়া শিশু দুইটির মা নাজনীন জানান, ১৯ আগস্ট বিকেলে তার দুই মেয়ে উম্মে হাবিবা ও আদিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তার মায়ের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী জেনারেল হাসপাতালে আসেন। সেখানে নাজনীনের পরিচিত জহুরুল ইসলাম তার দুই মেয়েকে বাইরে নিয়ে আইসক্রিম কিনে দিয়ে আবার হাসপাতালের ভেতরে রেখে যান। চিকিৎসা শেষে নাজনীন আক্তার শিশু দুইটিকে তার কাছে নিয়ে আসার জন্য জহুরুলকে ফোন দিলে তিনি জানান, তাদের অনেক আগেই হাসপাতালে রেখে গেছেন। এরপর তারা শিশু দুইটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু তাদেরকে আর খুঁজে পাননি।