সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) তার এ সফর শুরু হচ্ছে বলে নিজেই এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি। সৌদি আরবকে ‘ভ্রাতৃসুলভ’ দেশ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেছেন, তার এই সফরে রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন যুগের সূচনা হবে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় সৌদি রাজতান্ত্রিক সরকারের কঠোর সমালোচক ও ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে। বিশ্ব তোলপাড় করা ভয়াবহ ওই হত্যাকাণ্ডের পর রিয়াদের সঙ্গে আঙ্কারার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে।
কিন্তু সৌদিসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে চাচ্ছে তুরস্ক। এ কারণে খাসোগি হত্যার বিচার সৌদির কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। খাসোগি হত্যায় অভিযুক্ত সৌদি আরবের ২৬ নাগরিকের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু করেছিল আঙ্কারা। তবে চলতি মাসেই দেশটি এক ঘোষণায় জানিয়েছে, আদালত বিচার স্থগিত করে দিয়েছে। মামলাটি এখন সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তুরস্কের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, এ সফরে যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) ও বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের সবদিক পর্যালোচনা করা হবে। এ সফরের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে আলোচিত হবে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও। ‘এসব বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীও আলোচিত হবে’, বলা হয় বিবৃতিতে।