সন্দেহ থেকে বন্ধু শাকসবজি বিক্রেতা নাহিদ হোসেনের উপর প্রতিশোধের পরিকল্পনা করে অটোরিকশাচালক আজাদ শেখ। পরিকল্পনা অনুযায়ী আজাদকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন নাহিদ। মৃত্যু নিশ্চিত করে ৩০ টাকায় কেনা চাকু দিয়ে জবাইয়ের পর দেহ থেকে বিশেষ অঙ্গ কাটেন নাহিদ।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায়। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালিয়াকৈরের হরিণহাটি এলাকা থেকে নাহিদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর পরই আজাদ হত্যার রহস্য জানায় পুলিশ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, নাহিদ টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার আতাউর রহমান মণ্ডলের ছেলে।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন এলাকায় আজাদ নামে এক কিশোরের লাশ পাওয়া যায়। আজাদ ও নাহিদের বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাদের পরিচয় হয় দুই বছর আগে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেয় একটি সমিতি থেকে। সেই টাকা নিয়ে আজাদের রিকশায় বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে নাহিদকে রেখে রিকশা চালক আজাদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে দুইজন লোক ভয়ভীতি দেখিয়ে তার টাকা ছিনতাই করে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় আজাদ জড়িত সন্দেহের দানা বাঁধে নাহিদের মনে। পরে তিনি আজাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরদিন ফুটপাত থেকে ৩০ টাকা দিয়ে একটি ছুরি কেনেন নাহিদ। সেই দিন সন্ধ্যায় তরকারি পরিবহনের জন্য আজাদকে ডাকেন তিনি। চান্দাবহ কবরস্থানের সামনে আটো থামাতে বলেন নাহিদ। কৌশলে তাকে অন্ধকার মাঠে নিয়ে যান তিনি। সেখানে আজাদকে নৃশংসভাবে হত্যা করে অটো নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহয়তায় আজ কালিয়াকৈর থানাধীন হরিণহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, নাহিদের ৫০ হাজার টাকা ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অতীতের কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই।