উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় হঠাৎ পানি বাড়ার পর একরাতেই কমে গেছে তিস্তা নদীর পানি।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে এর আগে বুধবার ভোর থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভেঙে যায় তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস সড়ক। এতে রংপুর-বড়খাতা মহা সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি কমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পানিতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিস্তার চর এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর আলু, বাদাম, পেঁয়াজ, ধান ও ভুট্টাক্ষেত। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে ব্রিজ কালভার্ট ও রাস্তাঘাট। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় পরিবারগুলো স্থানীয় বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে তিস্তার স্রোতে জেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পরিবারগুলো উঁচু স্থানে পলিথিন মুড়িয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জাগো নিউজকে বলেন, জেলার জন্য চার লাখ টাকা ও ৫০ টন খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ হয়েছে। খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।