সমাবেশে মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশাহারা। মানুষ এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গেলে ব্যাগভর্তি বাজার আনতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির বাসায় গিয়ে নানান রকমের মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছেন। কিন্তু সাধারণ জনগণ তা খেতে পারেন না। এই সরকার জনগণের চিন্তা করে না। আজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে যখন কথা বলছেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্রসংগঠন হলে নির্যাতন, সিট–বাণিজ্য করছে। রুহুল কবির রিজভীকে গায়েবি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি অসুস্থ মানুষ, তবু সরকারের নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। তাঁর কিছু হলে এই সরকারকেই দায়ভার নিতে হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, এই মতিহার চত্বর রুহুল কবির রিজভীর রক্তে রঞ্জিত। তিনি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তাঁকে আজ অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। রিজভীর মুক্তি দিতে হবে। তাঁকে মুক্তি না দিলে রাজপথের আন্দোলনে তাঁকে মুক্ত করা হবে।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা অনুষদের ডিন ফরিদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা আজকে গণতন্ত্রহীনতার শেষ পর্যায়ে অবস্থান করছেন। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেখা যাচ্ছে রুহুল কবির রিজভীর মতো নেতাকে কারাগারে মিথ্যা মামলায় রাখা হয়েছে। তিনি এরশাদ আমলে গণতন্ত্রের জন্য গুলি খেয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ রকম হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে বিনা দোষে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রাখা হয়েছে।