বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনে ইভিএমের ভেতর ‘ভূত-পেত্নী’ দেখা গেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে দলটির মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলম। তিনি বলেছেন, ইভিএমে হাতপাখায় টাচ করলে ভোট হয়ে যাচ্ছে নৌকা প্রতীকে।
সোমবার বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ থেকে আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন কর্মীদের ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।
মুরশিদ আলম বলেন, নির্বাচন নিয়ে এরকম টালবাহানা চলবে না। আমরা এইরকম নির্বাচন দেখতে চাই না। বাংলাদেশের জনগণ এরকম টালবাহানার নির্বাচন দেখতে চায় না। এজন্য আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সমস্ত নেতাকর্মীদের কেন্দ্রে পাহারা দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। ভোট চোরেরা কখনো যেন ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যেতে না পারে। এজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে নির্বাচন কমিশন ডেকেছিল। আমি একটা বিষয়ে বলেছিলাম। আমার কথা শুনে সিইসি বারবার আমার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন- আমরা ইভিএমের মধ্যে ভূত-পেত্নী দেখতে পাইনি। আজকে সকাল বেলায় আমরা দেখতে পেয়েছি বরিশাল-খুলনা নির্বাচনে। খুলনা নির্বাচনে আমরা দেখতে পেয়েছি, হাতপাখার ওপর যখন টাচ করছে ভোট দেওয়ার জন্য, টাচ লাগছে হাতপাখায়, যায় নৌকায়।
তিনি আরও বলেন, সেই দিন আমি একজন মেয়র প্রার্থী- আমাকে ইঙ্গিত দিয়ে সিইসি বলেছিলেন ইভিএমে ভূত-পেত্নী নেই। আজকে কেন প্রকাশ পেল ইভিএমের মধ্যে ভূত-পেত্নী আছে না নাই? সিইসি বলেছিলেন, সুন্দর-সুষ্ঠু একটা নির্বাচন দিবেন; কিন্তু ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই হাতপাখার এজেন্টদের বের করে দেওয়া, কেন্দ্রে কেন্দ্রে হামলা পরিচালনা করেছে।
বরিশালে দলীয় মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী বলেন, বরিশালে যে হামলা করা হয়েছে, অবিলম্বে সেই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় শায়েখে চরমোনাই আমাদের যে আদেশ করবেন আমরা সেই আদেশ মানতে বাধ্য হব।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি হুসাইন আহমেদ। বক্তব্য দেন- মহানগরের সভাপতি ইসহাক ইসলাম। এর আগে নগরীর শিরোইল এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি নগরীর রেলগেট, নিউমার্কেট, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, কুমারপাড়া ঘুরে আবার জিরোপয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান বিক্ষোভ মিছিলের সামনে অবস্থান করছিল।