মার্চেই পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে ট্রেন: প্রকৌশলী

মার্চেই পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে ট্রেন: প্রকৌশলী

পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা থেকে যশোর।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের মাওয়া স্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভঙ্গা পর্যন্ত দূরত্ব রেলপথে ৪২ কিলোমিটার। ওই ৪২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার বাদে ৪১ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।

মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথের ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক রয়েছে আট কিলোমিটার। আর জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সেতুর মাঝের একটি অংশে ৭৫০ মিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই কাজ শেষ করা হবে। এরপর যাত্রীবাহী তিনটি কোচ (বগি) যুক্ত করে একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে।

পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার অংশের রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। দিনে ও রাতে অন্তত ২০০ শ্রমিক কাজ করছেন। দিনে রেলট্র্যাক স্থাপনের কাজ করা হয়। প্রতিটি রেলট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ২৫ মিটার। এতে ৪২টি স্লিপার থাকে। আর রাতে ওইগুলোর কংক্রিটের ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের সেতু ও ভায়াডাক অংশের প্রকৌশলী জহিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী জুনে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন করা হবে। ওই সময় ধরেই আমরা কাজ এগিয়ে নিয়েছি। সেতুর সামান্য একটি অংশ ছাড়া সব কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সেতুতে রেললাইন বসানোর সব কাজ শেষ হবে। মার্চ মাসে রমজানের আগে পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে। পরীক্ষামূলক রেল চালানোর পর কোন ত্রুটি দেখা দেয় কি না, তা দেখা হবে। যাতে আমরা উদ্বোধনের আগে সম্পূর্ণ একটি রেলপথ প্রস্তুত করতে পারি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.