এই এক দফার কর্মসূচি তো আমরা বহু দেখেছি: হানিফ

এই এক দফার কর্মসূচি তো আমরা বহু দেখেছি: হানিফ

আাগামী ১২ জুলাই ঢাকায় বিএনপির তারণ্যের সমাবেশ থেকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৩ সালে যখন সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছিল তারপর থেকে সেই একদফা কর্মসূচিইতো আছে। তাহলে তখন ওইটা কি কর্মসূচি ছিল।

সোমবার (১০ জুলাই) বেলা ১২টায় কুষ্টিয়ার হরিপুরে গড়াই নদী ভাঙন পরিদর্শন ও নদীর তীর
সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হানিফ।

হানিফ বলেন, এই এক দফার কর্মসূচি তো আমরা বহু দেখেছি। বাংলদেশে আমাদের কুটনৈতিক বিদেশী মেহমানরা আসছেন এই সব বিদেশী কুটনৈতিক মেহমানদের কাছে নিজেদের শোডাউনের মাধ্যমে শক্তি ও সাংগঠনিক অবস্থা জাহির করার জন্য তারা ১২ তারিখে একটা কর্মসূচি দিয়ে স্টান্ডবাজী করছেন।

হানিফ আরও বলেন, বিএনপির মূল ভরসার জায়গা হচ্ছে বিদেশী ষড়যন্ত্র কারণ বিএনপির দেশের জনগণের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নাই দেশের জনগণ তাদের পক্ষেও নাই। দেশের জনগণ যদি পক্ষে না থাকে তাহলে কোন আন্দোলনও সফল হয় না। এই কথা আমরা বহুবার বলেছি এটা বিএনপিও জানে। জানে বলেই তাদের এখন মূল ভরসার জায়গা বিদেশী ষড়যন্ত্রের ওপরে। এতে কিছু যায় আসে না। এদেশে মাটি মানুষের দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন ঘটানোর ক্ষমতা বিএনপির নাই।

হানিফ আরও বলেন, বিএনপি মুখে এক কথা বলছেন আর ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্ততি নিচ্ছেন। বিএনপি আসলে সরকার পতনের আন্দোলনের কথা বলে তাদের জনবিছিন্ন কর্মীদের মনোবল ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। বিএনপির লক্ষ নির্বাচনে যাওয়া। হানিফ বলেন, বিএনপির স্বভাব হচ্ছে সবসময় দ্বি-চারিতা টাইপের। ওরা মুখে এক কথা বলে আর কাজ করে তার উল্টো। বিএনপির ঠকবাজী এসব কর্মকান্ড দেশের জনগণ জানে অতএব এবার দেশের জনগনগণকে
কোন কিছু করেই বিভ্রান্ত করা যাবে না।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী এই সরকারের অধীনেই হবে এবং আমার বিশ্বাস বিএনপি সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারে অধীনে যে নির্বাচন হবে সেই
নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে। আর যদি বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে তারা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

জেলার নদী ভাঙন প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, পদ্মা ও গড়াই নদীর ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী
প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

এ সময় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিনসহ দলীয় নেতাকর্মী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *