নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনের লড়াইয়ের সাথে সংহতি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট সকল পণ্য ও ব্রান্ড অবৈধ ঘোষণা করতে হবে , অ্যামেরিকা স্টপ উইপন সাপ্লাইং টু টেরোরিস্ট ইসরায়েল, সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ আল জিহাদ, ইসরায়েলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে হবে, ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, জেরুজালেম ইজ আওয়ারস, উই ওয়ান্ট ইট ব্যাক, টু স্টেটস ইজ নো সলুশন, মুসলিমস ডিমান্ড দেয়ার ঔন ল্যান্ড ব্যাক, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি, সেভ আল–আকসা, ফ্রি প্যালেস্টাইন’সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বছরের পর বছর নানাভাবে ইসরায়েলের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে ফিলিস্তিনের জনগণ। তাদের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের ওপর সব নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হোক।
সমাবেশে অংশ নিয়ে সালমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ইসরায়েলের অনৈতিক কর্মকান্ডে তীব্র নিন্দা জানিয়ে এখানে দাড়িয়েছি। তাদের এমন কর্মকান্ডে পশ্চিমা দেশগুলো নীরব রয়েছে।
সারা বিশ্বের সকল মুসলিম দেশের উচিত এসময় ফিলিস্তিনদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা বিশ্বাস করি ফিলিস্তিন স্বাধীনতা নিয়েই ফিরবে ইনশাআল্লাহ।
স্বাধীন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দূর থেকে দেখে আমাদের যতটুকু করনীয় ফিলিস্তিনি ভাইদের জন্য, আমরা করবো। এ জন্যে যদি আমাদের জীবনও দিতে হয় আমরা দিতে প্রস্তুত রয়েছি ইনশাআল্লাহ।
ইংরেজদের কাছে পরাজিত হয়ে নবাব সিরাজুদ্দৌলা বলেছিলেন, পলাশীর যুদ্ধে যদি বাঙালিরা একটি করে পাথর মারতো তাহলে ইংরেজরা যুদ্ধ করার সাহস তো দেখাতো না পাশাপাশি পালানোর জায়গাটুকুও খুঁজে পেতোনা। আজকে যদি বিশ্বের মুসলমানরা একত্রিত থাকতেন, তাহলে ইসরায়েল এমন সাহস দেখাতে পারতোনা।
শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় অধ্যাপক মাসুদ বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েল বরাবরই হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে। কিন্তু এবার ফিলিস্তিন সেটার মোকাবিলা করেছে।
শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করছে জেনে আমিও একাত্মতা পোষণ করে এখানে দাড়িয়েছি। একজন মুসলমান হিসাবে এটা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।
পরে সমাবেশস্থল থেকে একটি প্রতিবাদী র্যালী বের করেন শিক্ষার্থীরা। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
এসময় বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।