ডলারের ব্যাপক দরপতন ঘটবে : জরিপ রয়টার্সের

ডলারের ব্যাপক দরপতন ঘটবে : জরিপ রয়টার্সের
চলতি বছর অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মান আরও কমবে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদের হার কম বাড়াচ্ছে। শিগগির সেই নীতি থেকে সরে আসতে পারে তারা। অন্যদিকে, অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংক সুদহার বেশি বাড়াচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সেটা বাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে তা দীর্ঘমেয়াদি হবে। এতে উভয়পক্ষের হারের পার্থক্য ঘটবে। তাতে মার্কিন মুদ্রার মূল্যমান আরও হ্রাস পাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে বিদেশি মুদ্রা কৌশলবিদরা অংশগ্রহণ করেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই ডলারের দাম নিম্নমুখী ছিল। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে যায়। ফেড প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সুদহার বাড়ানোর আভাস দেয়ায় এ ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়। এরই মাঝে গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। ফলে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি ফেডের। এ প্রেক্ষাপটে ডলারের দর আবার কমতে শুরু করে। এমইউএফজির মুদ্রা বিশেষজ্ঞ লি হার্ডম্যান বলেন, আগামী ৩ থেকে ৬ মাসে ডলার আরও দুর্বল হবে। সাম্প্রতিক ঘটনা মার্কিন আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোর ওপর আস্থা হারিয়েছে। এতে প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রার ঝুঁকি বেড়েছে।

পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে ইউরোর দাম বাড়বে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। আসছে ১ থেকে ৩ মাসের মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির দর বাড়বে ১ দশমিক ০৯ ডলার। আর পরবর্তী ১২ মাসে বৃদ্ধি পাবে ১ দশমিক ১২ ডলার। জাপানের মুদ্রা ইয়েনেরও উলম্ফন ঘটবে। ২০২২ সালে যা ৩২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল। এ বছর সেটি ঘুরে দাঁড়াবে। আগামী ১২ মাসে ইয়েনের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হবে প্রায় ৬ শতাংশ। প্রতি ডলারের দর স্থির হবে ১২৫ ইয়েনে। উদীয়মান বাজারের মুদ্রাগুলোরও মূল্যমান বাড়বে। এখন শুধু সময় গড়ানোর অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *