জয়ে পথে স্কটল্যান্ড

স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোচ্ছিল পাপুয়া নিউগিনি। ৫০ রান তোলার আগেই টপ অর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। শুরু থেকেই স্কটিশ বোলাররা চেপে ধরে নিউগিনির ব্যাটারদের। শেষ পর্যন্ত ১৭ রানে জিতে মূলপর্বের পথটা সুগম করে রাখল স্কটল্যান্ড।

জয়ের জন্য ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি পাপুয়া নিউগিনি। মাত্র ৩৫ রানের টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারকে হারায় তারা। ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন টনি উরা, আসাদ ভালা, লেগা সিয়াকা, চার্লস আমিনি ও সিমন আতাই। সেসে বাউ ও নরম্যান ভানুয়া প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা পারেননি। ২৩ বলে ২৪ রান করে বাউ আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন কিপলিন ডর্জিয়া। তবে তিনিও ফিরেছেন দ্রুত রান তুলতে গিয়ে। ডানহাতি এই ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন ১১ বলে ১৮ রান করে। ভানুয়া জয়ের স্বপ্ন জিইয়ে রাখলেও পাপুয়া নিউগিনি পূর্ণ দুই পয়েন্ট পাওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৭ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। হাফ সেঞ্চুরি ‍না পাওয়া ভানুয়া আউট হয়েছেন ৪৭ রানের ইনিংস খেলে। স্কটল্যান্ডের হয়ে জস ডেভি চার উইকেট নিয়েছেন। এর আগে টস জিতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।পাপুয়া নিউগিনির বোলারদের চাপে দলীয় ২৬ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় তারা। তবে শুরুর এই বিপর্যয় সামাল দেন ম্যাথু ক্রস এবং রিচি বেরিংটন। দু‌’জন মিলে গড়েন ৯২ রানের জুটি।  ওপেনার জর্জ মুনসে ভালো শুরু করলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১৫ রান। ম্যাথু ক্রসের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৪৫ রান। এছাড়া রিচি বেরিংটন তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গী কলাম ম্যাকলিয়ডকে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকেই যেতে থাকেন তারা। তবে হঠাৎই ঘুরে দাঁড়ায় পাপুয়া নিউগিনির বোলাররা। এক ওভারে তুলে নেয় দুইজন সেট ব্যাটসম্যানকে। চাদ সোপের ফিরিয়ে দেন দু‌’জনকেই। ১০ রানে ফিরে গেলেও রানের চাকা সচল রাখেন বেরিংটন। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৭০ রান ফিরে যান তিনি। ৬ চার আর ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।