সৌদি আরব আগামী জুলাই থেকে প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে। ওপেক প্লাস ২০২৪ সাল থেকে দিনে আরও ১৪ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে। এতে এশিয়ার বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। খবর আল জাজিরা
তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের সদস্য ও এর সহযোগী দেশগুলো বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে। ফলে এসব দেশ তেলের উৎপাদন বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যে তার প্রভাব পড়ে।
পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস-এর নেতৃত্বে রয়েছে রাশিয়া। ভিয়েনায় সংস্থাটি সদর দপ্তরে সাত ঘণ্টা আলোচনার পর উৎপাদন কমানোর নীতির বিষয়ে দেশগুলো একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে সরবরাহে পূর্ববর্তী হ্রাস আরও বাড়িয়ে মোট ১৪ লাখ ব্যারেলে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছে।
সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন সালমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি মহান দিন, কারণ চুক্তির মান অভূতপূর্ব। তেলের নতুন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি স্বচ্ছ এবং অনেক বেশি ন্যায্য’।
তিনি আরও বলেন, রিয়াদের তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়টি প্রয়োজনে জুলাইয়ের পর আরও বাড়ানো হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৪০ শতাংশ এককভাবে উৎপাদন করে থাকে। এর ফলে সৌদি আরবের এই ধরনের সিদ্ধান্ত তেলের দামের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।