ইউক্রেনের উত্তরের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়ান সেনারা। বেলারুশ থেকে কিয়েভ যাওয়ার অন্যতম শর্টকার্ট চেরনোবিল।
রাশিয়ান সৈন্যরা সেখানকার কর্মীদের আটক করেছে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উপদেষ্টা মিখাইলো পডলাক জানান, ভয়ংকর যুদ্ধের পর চেরনোবিলের দখল নিয়েছে রুশরা। তিনি আরও জানান, সেখানকার এখন কী অবস্থা তা আমরা জানি না।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার’র উপদেষ্টা আলিওনা শেভতসোভা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিএনএনকে জানিয়েছেন কয়েকজনকে জিম্মি করেও রেখেছে রাশিয়ানরা।
বিভিন্ন সূত্রের খবর রাশিয়ানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরিত্যাক্ত চেরনোবিল পাওয়ার প্ল্যান্ট।
১৯৮৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘটিত ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে। এটি চেরনোবিলের বিপর্যয় হিসাবে পরিচিত। চেরনোবিল বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভুত। এ পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে গণ্য করা হয়।
রয়টার্স জানায়, চেরনোবিলের নিষিদ্ধ এলাকায় জড়ো হওয়ার পর আরও ভেতরে অগ্রসর হতে থাকে রাশিয়ান সৈন্যরা।
চেরনোবিল দখলের ঘটনায় রাশিয়ানদের ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস।বিভিন্ন সূত্রের খবর রাশিয়ানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরিত্যাক্ত চেরনোবিল পাওয়ার প্ল্যান্ট।
১৯৮৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘটিত ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে। এটি চেরনোবিলের বিপর্যয় হিসাবে পরিচিত। চেরনোবিল বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভুত। এ পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে গণ্য করা হয়।
একটি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর বিস্ফোরিত হলে এ দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। ঘটনার সময় চেরনোবিলে প্রায় ১৪ হাজার বসতি ছিল। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ৪ জন কর্মী মারা যান। পরবর্তীতে ২৩৭ জন মানুষ পারমাণবিক বিকিরণের ফলে অসুস্থ হয়ে পরে এবং প্রথম তিন মাসে ৩১ জন মৃত্যুবরণ করে, যাদের অধিকাংশই উদ্ধারকর্মী।