চাঁদপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালকসহ ৭ জনের নামে মামলা

চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর সদরের আমলি আদালতে মামলাটি করেন সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের জহির মিজি নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী।

অন্য আসামিরা হলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলার বাখরপুর গ্রামের হারুনুর রশিদ গাজীর ছেলে মো. জামাল গাজী, চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় পরিদর্শক বাপন সেন, উপপরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান, মো. পিয়ার হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আশ্রাফ আলী ও সিপাহী মো. সাইফুল ইসলাম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর জহির বাড়ি থেকে বের হয়ে চান্দ্রা চৌরাস্তায় এলে তাকে অভিযুক্তরা ঘেরাও করে মারধর করেন। পরে তার কাছে থাকা ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা। সর্বশেষ পরিকল্পিতভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪২০ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে জহিরকে জিআর মামলায় আদালতে সোপর্দ করেন।

এ ঘটনায় মামলার প্রধান সাক্ষী মোক্তার আহম্মেদ বিষয়টি নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দেন। পরে এ ঘটনায় মহাপরিচালক বিভাগীয় কার্যালয় চট্টগ্রামকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

চলতি বছরের ২৪ জুন বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির আখন্দ। তিনি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আসামিদের জবানবন্দিসহ বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে পাঁচ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে ব্যবসায়ী জহির মিজি ঘটনার শিকার বলে উল্লেখ করা হয়। তাকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম বলেন, আদালতে মামলার বিষয়টি জেনেছি। এর আগে যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। এ কারণে নতুন করে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে হেড অফিস।