রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর নির্মাণাধীন বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে একই পরিবারের ৫ সদস্য নিহতের ঘটনায় ক্রেনচালক মো. আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয় ও রাকিব হোসেনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে এ মামলায় দশ আসামির মধ্যে আটজন জামিন পেলেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট হেভি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ইফসকন বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. ইফতেখার হোসেন, হেড অব অপারেশন মো. আজহারুল ইসলাম মিঠু, ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল্ড ট্রেড কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃধার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
পরবর্তীকালে গত ২৫ আগস্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার মো. জুলফিকার আলী শাহ ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম জামিন পান।
গত ১৫ আগস্ট বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরার প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হন। ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। এ ঘটনার রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত ১৭ আগস্ট রাতে ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯ আগস্ট ক্রেনচালক মো. আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়, রাকিব হোসেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার মো. জুলফিকার আলী শাহের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্য আসামিদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।