চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কেন্দ্র ছাড়া বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শান্তি’ শীর্ষক এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজক ছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মোট ছয়টি আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়েছে। সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে নির্বাচন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কেন্দ্রে একটু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া সব কটি আসনে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
এই উপনির্বাচনে কে জিতল, কে হারল—এটা আওয়ামী লীগের মূল বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার গণতন্ত্রের বিজয় হলো। গণতন্ত্র এখানে বিজয়ী। বিরোধীরা অপপ্রচার করে, এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, ছয়টি আসন আপনাদের ছিল। সংসদ থেকে পদত্যাগ করে কত বড় ভুল করেছেন, এটা যতই দিন যাবে, ততই অনুধাবন করতে পারবেন।’
এই উপনির্বাচনে যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন, তাঁরা বিএনপির লোক দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকাশ্যে আসেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘোমটা পরে নেমেছিল। ঘোমটা পরা প্রার্থী সব আসনেই আছে। এ ঘোমটা পরা প্রার্থী হচ্ছে বিএনপির প্রার্থী। ফখরুলের লজ্জা করে না, ঘোমটা পরা প্রার্থী দিয়েছেন, নেতা-কর্মীদের মাঠে নামিয়েছেন। আর দোষ দিচ্ছেন সরকারকে।’
আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি ভয় পেয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্মসূচি এখন কেবলই গরম থেকে নরম হচ্ছে। উত্তাপ আর ছড়ায় না। বিএনপির আন্দোলনে এখন নেতা-কর্মী ছাড়া কোনো জনগণ নেই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মির্জা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সঞ্চালক ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।