ব্যাংক ঋণের সুদহার বাজার ব্যবস্থার ওপর ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী জুলাইয়ে নতুন মুদ্রানীতিতে আসতে পারে স্পষ্ট নির্দেশনা। ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, রপ্তানির মাধ্যমে টাকা পাচার ঠেকাতে কঠোর করা হচ্ছে নজরদারি। ব্যবসায় খরচ কমানো এবং বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান বাড়াতে একক অঙ্কের সুদহার ঠিক করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কিংবা সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতির বিচারে এ সিদ্ধান্ত আদৌ যৌক্তিক ছিল কি না- সেই প্রশ্ন নানা মহলে।
ফলে আবারো আলোচনায় এ হারকে বাজারভিত্তিক করার। তবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রেখে কীভাবে এবং কত সময়ের মধ্যে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা যায়, সেই করণীয় ঠিক করতে ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে সভা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে আগামী মুদ্রানীতিতে। তিনি বলেন, বিদ্যমান সুদের হার ৯ শতাংশ। সেটার পরিবর্তে আমরা বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ব্যাংকগুলো নিজেরাই সেটা নির্ধারণ করবে।
মেজবাউল হক জানান, ডলার সঙ্কট কাটাতে আমদানির লাগাম টেনে ধরার সাফল্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই আগামীতে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে হওয়া অর্থপাচার ঠেকাতে নজরদারি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।
মেজবাউল হক বলেন, যেসব পণ্য বাইরে যাচ্ছে, সেসবের রপ্তানি মূল্য আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ব্যাংকগুলোকে সেই নির্দেশনা দিয়েছি। খেলাপী ঋণ কমাতেও ব্যাংকগুলোকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।