ফায়ার সার্ভিস ইতোমধ্যে অনেক মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করব। এগুলো নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন— বিস্ফোরণের দুটি ঘটনা (সায়েন্সল্যাব ও গুলিস্তান) প্রাকৃতিক গ্যাস জমার কারণে অ্যাক্সিডেন্ট। কারণ আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত কোনো নাশকতার আলামত খুঁজে পাইনি। আর দুটি আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেখলে বুঝতে পারব এগুলো নাশকতা না দুর্ঘটনা। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক পুলিশিংটাও আমরা করে থাকি। কোনো ঘটনা ঘটলে আমাদের সবার আগে বলা থাকে ফায়ার সার্ভিস যেন নির্বিঘ্নে আগুন নেভানোর কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, মানুষ যেন ফায়ার সার্ভিসের যাতায়াতের পথে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা। তার পর কোনো জিনিসপত্র কেউ যেন লুটপাট না করে সেই বিষয়টি দেখা এবং মানবিক পুলিশিং আমাদের তিন নম্বর কাজ। এর জন্য যদি আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়, তবে আমরা সেই ঝুঁকি নিতে রাজি আছি। শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে প্রথম আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের মোট ২৮টি ইউনিট কাজ করে। সাড়ে তিন ঘণ্টার আপ্রাণ চেষ্টায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিজি।